ফ্লাটার দিয়ে ডেভেলপ করা উইন্ডোজ ডেক্সটপ এপ্লিকেশনের জন্য ইন্সটলার তৈরী করবেন যেভাবে।

নমস্কার! শুভ সুপ্রভাত! স্বাগত আপনাকে আজকের ব্লগে। আজ আমরা দেখব ফ্লাটার দিয়ে ডেভেলপ করা উইন্ডোজ ডেক্সটপ এপ্লিকেশনের জন্য .exe ফাইল কিংবা ইন্সটলার ফাইল অথবা সেটাপ ফাইল কিভাবে তৈরী করতে হয়।

প্রায় ২ বছর (মাত্র ১৪ দিন বাকি) হতে গেল। আমি কোন ব্লগ লিখিনি। আমার ব্লগিং লাইফে এত বিরতি এর আগে কখনও দিইনি। বিদ্যুতের সমস্যা, ইন্টারনেট সহ কত রকম প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এরকম কখনও হয়নি। গত ২ বছর যেন কিভাবেই লেখালিখি ছাড়া কেটে গেল।

ফ্লাটার ডেক্সটপ

যাহোক, আমাদের আজকের ব্লগের বিষয়বস্তু ফ্লাটার দিয়ে ডেভেলপ করা উইন্ডোজ ডেক্সটপ এপ্লিকেশনের জন্য ইন্সটলার কিভাবে তৈরী করতে হয়। আপনি যদি ফ্লাটার শব্দটি প্রথম শুনে থাকেন তবে ফ্লাটারের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে ঘুরে আসুন। সহজ কথায় ফ্লাটার হল ক্রসপ্লাটফর্ম এপ্লিকেশন ডেভেলপ করার জন্য ফ্রেমওয়ার্ক। যেটা তৈরী করেছে গুগল।

ফ্লাটারে এপস ডেভেলপ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ডার্ট ল্যাঙ্গুয়েজ। যেহেতু ক্রসপ্লাটফর্ম তাই একই কোড থেকে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ম্যাক, লিনাক্স, উইন্ডোজ এবং ওয়েবের জন্য অ্যাপস বিল্ড করা যায়। এটি দিন দিন প্রচুর জনপ্রিয় হচ্ছে। এই পোষ্ট লেখা পর্যন্ত ফ্লাটারের সর্বশেষ স্ট্যাবল ভার্সন হল ২.৮

ফ্লাটার ভার্সন ২.৫ থেকে তারা স্ট্যাবল চ্যানেলে উইন্ডোজ ডেক্সটপ সার্পোট দিয়েছে। স্ট্যাবল চ্যানেলে ডেক্সটপ সার্পোট আসার আগে উইন্ডোজের জন্য এপস বিল্ড করার চেষ্টা আমি করিনি। যদিও ডেভ চ্যানেলে অনেক আগেই ডেক্সটপ সার্পোট এসেছিল।

ফ্লাটার ডেক্সটপ বিল্ড

ফ্লাটার দিয়ে ডেভেলপ করা উইন্ডোজ ডেক্সটপ এপ্লিকেশনের জন্য ইন্সটলার অনেকভাবেই তৈরী করা যায়। আমি ব্যবহার করেছি সব থেকে সহজ এবং ঝামেলামুক্ত উপায়। InnoSoft নামে একটি ডেক্সটপ এপ্লিকেশন। InnoSoft ডাউনলোড করা যাবে এখানে ক্লিক করে। পুরো বিষয়টার উপরে আমি একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়েছি কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া। তাই ভিডিও কথার জড়তা লক্ষ্য করবেন। তবে আপনার কাজ চলে যাবে।

আজ এপর্যন্তই। ভাল থাকবেন। কথা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে। এ বছর, নাহয় পরের কোন এক বছরে। 😛

Facebook Comments

S.k.joy

খুব সাধারণ একজন। বসবাস গ্রামে। জন্ম, বেড়ে উঠা এখানেই। অসম্ভব ভালবাসা এই গ্রামীন জীবন, প্রকৃতি আর পরিবেশের প্রতি। কাজ পড়াশোনার ক্ষেত্রে বার বার সুযোগ এলেও শহরবাসী হয়ে উঠতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। শহরের অতি আধুনিকতা, কংক্রিটে মোড়া সুউচ্চ অট্টেলিকায় বন্দি জীবন আমায় কখনও আর্কষিত করতে পারিনি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেঠো পথে বেরিয়ে পড়ি সকালটাকে উপভোগ করতে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ গুলোতে জেগে উঠা পাখিগুলো আমায় স্বাগত জানায়। বুক ভরে নিশ্বাস নিই। শিশিরে ভেজা ঘাস গুলো প্রতি মুহুর্তে সকালের কোমলতাকে জানান দেয়। সূর্যের রোদ সবার আগে গায়ে মেখে ফিরে আসি। দাদু-ঠাম্মা, ছোট ছোট ভাই বোন সবাইকে পরিবার। এইতো জীবন। খুশিতে ভরা জীবন। দূরে গিয়ে সবার থেকে আলাদা হয়ে নিজের মত থাকার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাইনা আমি।