জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টোটাল পয়েন্ট, মেরিট পজিশন হিসাব করুন ছোট একটা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে।

নমস্কার! সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি নতুন অ্যাপস রিভিউ ব্লগে। আজ আমি আপনাদেরকে একটি অ্যান্ডয়েড অ্যাপসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। যার নাম NU CGPA Calculator. আশাকরি নাম শুনেই এটার কাজ সম্পর্কে অনেকটা বুঝতে পেরেছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য মূলত এই অ্যাপস। এটি ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রতি বছরের সর্বমোট পয়েন্ট এবং মেরিট পজিশন ক্যালকুলেশন করতে পারবে খুব সহজে। নিচের স্ক্রিনশট টা লক্ষ্য করুণ। আশাকরি এর ব্যবহার সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পেয়ে যাবেন।

Nu CGPA Calculator - SKJOY
ইউজার ইন্টারফেস – রেজাল্ট স্ক্রিন

NU CGPA Calculator

অ্যাপসটি প্লেস্টোরে পাবলিশ হওয়ায় ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিংক থেকে। সাইজ মাত্র ২.৩ মেগাবাইট। ইন্সটলের পর ওপেন করলে নিচের মত ইউজার ইন্টারফেস দেখতে পারবেন।

 

NU CGPA Calculator - SKJOY
ইউজার ইন্টারফেস

এবার উপরের ডান কোনায় প্লাস আইকনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সাবজেক্ট গুলো যুক্ত করে নিন। আমি ৬ টা সাবজেক্ট যুক্ত করেছি।

NU CGPA Calculator
ইউজার ইন্টারফেস – সাবজেক্ট লিষ্ট(ব্লাংক)

 

এবার আপনার রেজাল্ট এবং সাবজেক্ট অনুসারে গ্রেড গুলো বসান। নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুন। মনে রাখবেন গ্রেড গুলো ক্যাপিটাল অথবা স্মল লেটারে বসানে হবে। গ্রেডের আগে পরে কোন স্পেস থাকবেনা।

NU CGPA Calculator - SKJOY
ইউজার ইন্টারফেস – সাবজেক্ট লিষ্ট

এবার Calculate বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে সহজেই সব সাবজেক্টের গ্রেড অনুযায়ী পয়েন্ট গুলো ক্যালকুলেশন হয়ে জিপিএ পয়েন্ট এবং মেরিট পজিশন আপনার সামনে চলে আসবে।

NU CGPA Calculator
ইউজার ইন্টারফেস – ফলাফল স্ক্রিন

তো এটায় হল NU CGPA Calculator অ্যাপসের কাজের পরিচিতি। জিপিএ এবং মেরিট লিষ্ট ক্যালকুলেশন ছাড়াও এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের ফলাফল এবং নোটিশ আপনি অ্যাপস থেকেই পেয়ে যাবেন। ভাল লাগলে এবং প্রয়োজনীয় মনে করলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আজ এপর্যন্ত। কথা হবে পরবর্তী ব্লগে। সেই অব্দি ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

Facebook Comments

S.k.joy

খুব সাধারণ একজন। বসবাস গ্রামে। জন্ম, বেড়ে উঠা এখানেই। অসম্ভব ভালবাসা এই গ্রামীন জীবন, প্রকৃতি আর পরিবেশের প্রতি। কাজ পড়াশোনার ক্ষেত্রে বার বার সুযোগ এলেও শহরবাসী হয়ে উঠতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। শহরের অতি আধুনিকতা, কংক্রিটে মোড়া সুউচ্চ অট্টেলিকায় বন্দি জীবন আমায় কখনও আর্কষিত করতে পারিনি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেঠো পথে বেরিয়ে পড়ি সকালটাকে উপভোগ করতে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ গুলোতে জেগে উঠা পাখিগুলো আমায় স্বাগত জানায়। বুক ভরে নিশ্বাস নিই। শিশিরে ভেজা ঘাস গুলো প্রতি মুহুর্তে সকালের কোমলতাকে জানান দেয়। সূর্যের রোদ সবার আগে গায়ে মেখে ফিরে আসি। দাদু-ঠাম্মা, ছোট ছোট ভাই বোন সবাইকে পরিবার। এইতো জীবন। খুশিতে ভরা জীবন। দূরে গিয়ে সবার থেকে আলাদা হয়ে নিজের মত থাকার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাইনা আমি।