সোস্যাল কার্ড তৈরী - SKJOY

সোস্যাল কার্ড তৈরী করুন একদম ফ্রিতে, যতখুশি তত।

নমস্কার! শুভ সন্ধ্যা! স্বাগত আজকের ব্লগে। আজ আমরা দেখব ফ্রিতে সোস্যাল কার্ড তৈরী কিভাবে করা যায়। সোস্যাল মিডিয়াতে যখন আমরা কোন লিংক শেয়ার করি তখন সেই লিংকের একটা প্রিভিউ জেনারেট হয়। যা দেখতে নিচের ছবির মত। আর এটাকেই সাধারণত সোস্যাল কার্ড বলা হয়।

"<yoastmark

উপরের ইমেজ টা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সোস্যাল কার্ডে সাধারণত ৪ টি প্রধান অংশ থাকে।

  1. ইমেজ।
  2. টাইটেল।
  3. ডেসক্রিপশন।
  4. ডেস্টিনেশন লিংক।

সোস্যাল মিডিয়াতে এই ধরণের সোস্যাল কার্ডে ক্লিক করেই আমরা নানা নিউজ, ব্লগ সহ বিভিন্ন প্রডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারি। সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে খুব  সামান্য পরিমাণ লোকই কোন সাইটের ওয়েব অ্যাড্রেস মুখস্ত করে রাখে।

বর্তমানে যেকোন ওয়েব সাইট তাদের মোট ভিজিটরের একটা বড় অংশ সোস্যাল মিডিয়া থেকে পেয়ে থাকে।

সোস্যাল কার্ড কেন তৈরী করবেন?

ব্যাক্তি এবং প্রয়োজনের ধরণ অনুযায়ী প্রচুর কারণ রয়েছে সোস্যাল কার্ড তৈরী করবার পেছনে। এখানে প্রধান কিছু কারণ উল্লেখ করছি।

  • অর্জিনাল লিংক শেয়ার না করে ফাইভারের গিগ সোস্যাল মিডিয়াতে প্রমোট করবার জন্য।
  • আপনার ওয়েব সাইট সোস্যাল মিডিয়াতে ব্লক হয়ে থাকার জন্য।
  • কোন অ্যাপস কিংবা সফটওয়্যারের লিংক কাষ্টম ইনফরমশন সহ সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে।
  • অর্জিনাল লিংক হাইড করে কাষ্টম ইমেজ, টাইটেল, ডেসক্রিপশন সহ কোন প্রডাক্টের লিংক শেয়ার করবার জন্য।
  • ব্লগের অর্জিনাল টাইটেল ব্যাতিত আলাদা ইনফরমেশন দিয়ে ভিজিটরদের আর্কষণ করবার জন্য।
  • কোন লিংকের ডিফল্ট প্রিভিউ জেনারেট করতে ব্যার্থ হলে কিংবা না থাকলে।
  • বন্ধুদের সাথ মজা করতে, ইত্যাদি।

সোস্যাল কার্ড তৈরী

JP Social Card Maker এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে এবং ফ্রিতে সোস্যাল কার্ড তৈরী করতে পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন নেই কোন রেজিষ্টেশনের। প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করে সাইটিতে চলে যান। নিচের মত একটি ফর্ম দেখতে পারবেন।

"<yoastmark

প্রথমে ১ মেগাবাইটের কম সাইজের একটি ইমেজ আপলোড করুন। তারপর পর্যায়ক্রমে পুরো ফর্মটা পূরণ করুন নিচের মত করে। বুঝতে অসুবিধা হলে এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নেওয়া যেতে পারে।

"<yoastmark

এই ফর্মে Destination Url ফিল্ডটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সোস্যাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন সেই ওয়েব এড্রেস টা এখানে দিতে হবে। যেমন, আপনার শেয়ার করা সোস্যাল কার্ডে যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে কোথায় যাবে সেই লিংকটা এখানে দিয়ে দিতে হবে। আমরা এখানে ফাইভারের হোমপেজের লিংক দিয়েছি।

বলে রাখা ভাল উপরের সোস্যাল কার্ডটা আমরা ফাইভারের গিগের জন্য বানাচ্ছি। যদিও সরাসরি গিগের লিংক সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ফাইভারের কোন বাঁধা নেই। কিন্তু আপনার যদি সংকোচ থাকে, তাহলে আপনার গিগকে সোস্যাল মিডিয়াতে এভাবে প্রমোট করতে পারেন।

এবার Generate বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার দেওয়া ইনফরমেশন অনুযায়ী সোস্যাল কার্ড জেনারেট হয়ে যাবে এবং নিচের মত দেখতে পারবেন।

"<yoastmark

লিংক টা কপি করে রাখুন। এটায় আপনার সোস্যাল কার্ডের লিংক। এবার Facebook, Twitter, Linkedin সহ যেকোন সোস্যাল সাইটে লিংকটি শেয়ার করুন। তাহলে নিচের মত সোস্যাল কার্ড দেখতে পারবেন।

"<yoastmark

উপরের স্ক্রিনশটে যে সোস্যাল কার্ডটি দেখতে পারছেন, তা আমার টাইমলাইনে শেয়ার করার পরের অবস্থা। আর নিচের স্ক্রিনশটে যেটা দেখতে পারছেন এটা ফেসবুক ইনবক্সের প্রিভিউ। মানে লিংক টা যদি ইনবক্সে শেয়ার করেন তাহলে কেমন দেখাবে সেটায় আরকি।

JP Social Card Maker - SKJOY
ফেসবুক ইনবক্স প্রিভিউ – সোস্যাল কার্ড

এবার আশাকরি বুঝতে পেরেছেন যে JP Social Card Maker এপ্লিকেশনের কাজটা কি! 🙂 শুধু যে ফাইভারের গিগ প্রোমোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে তা কিন্তু নয়। আপনার প্রডাক্ট মার্কেটিং, বন্ধুদের সাথে মজা করা থেকে শুরু করে সোস্যাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক নিয়ে যাওয়া যাবে যেকোন সোর্সে। আর তার জন্য আপনার নিজের ওয়েব সাইট থাকবারও প্রয়োজন নেই।

ভিডিও

JP Social Card Maker এপ্লিকেশনটি নানান ধরণের কাজে ব্যবহার করা যায়। যা একবার ব্যবহার করলেই বোঝা যাবে। তবে খারাপ কোন কাজে কিংবা উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করবার অনুরোধ রইল। সেক্ষেত্রে এপ্লিকেশন ডেভেলপার কোন ভাবেই দায়ী থাকবেনা।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস

এই ওয়েব এপ্লিকেশনটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আসছে খুব শীঘ্রি। সাথেই থাকুন।

কোন লিংককে পাসওয়ার্ড দিয়ে কিভাবে লুকিয়ে রাখতে হয় জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন। আজ এ পর্যন্ত। ভাল থাকবেন। কথা হবে পরবর্তী ব্লগে। ফেসবুকে আমাকে পাবেন এখানে।

Facebook Comments

S.k.joy

খুব সাধারণ একজন। বসবাস গ্রামে। জন্ম, বেড়ে উঠা এখানেই। অসম্ভব ভালবাসা এই গ্রামীন জীবন, প্রকৃতি আর পরিবেশের প্রতি। কাজ পড়াশোনার ক্ষেত্রে বার বার সুযোগ এলেও শহরবাসী হয়ে উঠতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। শহরের অতি আধুনিকতা, কংক্রিটে মোড়া সুউচ্চ অট্টেলিকায় বন্দি জীবন আমায় কখনও আর্কষিত করতে পারিনি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেঠো পথে বেরিয়ে পড়ি সকালটাকে উপভোগ করতে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ গুলোতে জেগে উঠা পাখিগুলো আমায় স্বাগত জানায়। বুক ভরে নিশ্বাস নিই। শিশিরে ভেজা ঘাস গুলো প্রতি মুহুর্তে সকালের কোমলতাকে জানান দেয়। সূর্যের রোদ সবার আগে গায়ে মেখে ফিরে আসি। দাদু-ঠাম্মা, ছোট ছোট ভাই বোন সবাইকে পরিবার। এইতো জীবন। খুশিতে ভরা জীবন। দূরে গিয়ে সবার থেকে আলাদা হয়ে নিজের মত থাকার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাইনা আমি।