বাংলাদেশকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনে পরিণত করতে যাচ্ছে টেলিটক !

চীন ও রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনে পরিণত করতে যাচ্ছে টেলিটক। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে রাশিয়া ও চীনের সাথে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণের প্রাথমিক চুক্তি সম্পাদন করেছে সরকার। তবে এই ঋণের পরিমাণ পরে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে।

Free wifi zone

সূত্রমতে, এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান ‘টেলিটক থ্রিজি চালু ও সম্প্র্রসারণ এবং টুজি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতা আরো বাড়ানো হবে। সারা বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে যাবে টেলিটকের টুজি এবং ৩.৫জি নেটওয়ার্ক।

এর পরই বাস্তবায়ন শুরু হবে সমগ্র বাংলাদেশকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনে পরিণত করার কার্মকাণ্ড।
দেশের ৬৪ জেলা শহরসহ দেশের সব প্রান্তে টেলিটকের থ্রিজি পৌঁছানোর কাজ শেষ হলে প্রতিটি টাওয়ারের সাথে একটি করে শক্তিশালী ওয়াইফাই রাউটার স্থাপন করা হবে। একটি রাউটার অন্তত দেড় বর্গকিলোমিটার শক্তিশালী ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কাভারেজ প্রদানে সক্ষম হবে।

এই ওয়াইফাই হবে সবার জন্য উন্মুক্ত—একদম ফ্রি। স্পিড প্রাথমিকভাবে পাওয়া যাবে অন্তত ২৫৬ কেবিপিএস, যা পরে আরো বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে।
আজ অনানুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ প্রকল্পের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, রাশিয়া ও চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্যেঃ রেডিও কথ

Facebook Comments

S.k.joy

খুব সাধারণ একজন। বসবাস গ্রামে। জন্ম, বেড়ে উঠা এখানেই। অসম্ভব ভালবাসা এই গ্রামীন জীবন, প্রকৃতি আর পরিবেশের প্রতি। কাজ পড়াশোনার ক্ষেত্রে বার বার সুযোগ এলেও শহরবাসী হয়ে উঠতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। শহরের অতি আধুনিকতা, কংক্রিটে মোড়া সুউচ্চ অট্টেলিকায় বন্দি জীবন আমায় কখনও আর্কষিত করতে পারিনি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেঠো পথে বেরিয়ে পড়ি সকালটাকে উপভোগ করতে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ গুলোতে জেগে উঠা পাখিগুলো আমায় স্বাগত জানায়। বুক ভরে নিশ্বাস নিই। শিশিরে ভেজা ঘাস গুলো প্রতি মুহুর্তে সকালের কোমলতাকে জানান দেয়। সূর্যের রোদ সবার আগে গায়ে মেখে ফিরে আসি। দাদু-ঠাম্মা, ছোট ছোট ভাই বোন সবাইকে পরিবার। এইতো জীবন। খুশিতে ভরা জীবন। দূরে গিয়ে সবার থেকে আলাদা হয়ে নিজের মত থাকার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাইনা আমি।