নিজের তৈরী প্লাগিন ওয়ার্ডপ্রেস ডাইরেক্টরিতে যুক্ত করবেন যেভাবে।

কিভাবে আপনার নিজের তৈরি প্লাগইন ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরী তে যুক্ত করবেন সে বিষয়টি হয়ত অনেককেরই অজানা। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও এ বিষয়টা জানতাম না কিছুদিন আগ পর্যন্ত।

wordpress plugin

আমি এই ডকটির মাধ্যমে কিভাবে প্লাগইন ওয়ার্ডপ্রেসের অফিসিয়াল সাইটে যুক্ত করতে হয় তা জানানোর চেষ্টা করছি ।
আপনার তৈরি প্লাগইন কেন ওয়ার্ডপ্রেসের সাইটে যুক্ত করবেন?

আপনি যদি আপনার প্লাগইন ওয়ার্ডপ্রেসে সাইট বা ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরী যাই বলি না কেন, তাতে যুক্ত করেন তাহলে আপনার তৈরি প্লাগইন টি যে কেউ যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারবে। প্লাগইনটি ওয়ার্ডপ্রেসের সাইটে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকবে। প্লাগইনটি অনেক ভালো রেটিং সমৃদ্ধ হলে ওয়ার্ডপ্রেস তা ফিচারড করে রাখবে।

এছাড়া আপনি চাইলে প্রিমিয়াম প্লাগইন তৈরি করে আয়ও করতে পারেন তা থেকে।

প্লাগইন কিভাবে বানাবো?
কেন? আপনি কি রাসেল ভাইয়ের পার্ট ৩ টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করেন নি?

টিউটোরিয়ালগুলো মনেযোগ সহকারে দেখেন আর নিজে নিজে হয়ে উঠুন প্লাগইন ডেভেলপার।
প্লাগইন এর সাথে কি কি ফাইল থাকতে হবে?

  • ১। আপনার প্লাগেইন হুক ফাইল।
  • ২। স্ক্রীনশট ইমেজ।
  • ৩। রিডমি টেক্সট ফাইল।
  • ৪। অতিরিক্ত সিএসএস ও জেএস ফাইল (যদি লাগে)
    যেভাবে প্লাগইনস টি সাবমিট করবেন :

=> প্রথমে আপনার প্লাগেইনটি জিপ ফাইল আকারে আপনার হোস্টিং এ আপলোড করুন।

=> এরপর http://wordpress.org সাইটে একটি আইডি রেজিষ্ট্রেশন করুন । আগের আইডি করা থাকলে শুধু লগইন করুন।

=> এরপর এই http://wordpress.org /plugins/add/ সাইটে প্রবেশ করুন। এবং সেখানে নির্দিষ্ট ফর্মে Plugin Name, Plugin Description, এবং Plugin ইউআরএল (আপনার আপলোডকৃত প্লাগ্ইন্স এর ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক) পূরণ করে Send Post এ ক্লিক করুন।

=> প্লাগইন্স সাবমিট হয়ে গেল।

=> সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস আপনার তৈরি প্লাগইনটি ডাউনলোড করে পরীক্ষা করে আপনাকে ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে একটি মেইল পাঠাবে। কোন কোন ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগতে পারে তবে চিন্তার বা হতাশ হওয়ার কোন কারন নেই। আপনি অবশ্যই একটি মেইল পাবেন এবং সেখানে প্লাগইনটি এপ্রুভ হয়েছে না রিজেক্ট হয়েছে তা জানানো হবে।

যদি কোন কারনে এপ্রুভ না হয় তবে ওয়ার্ডপ্রেস টিম আপনাকে মেইলে প্লাগইন এপ্রুভ না হওয়ার কারনটি জানিয়ে দিবে এবং সেটি সমাধান করার জন্য ৭ দিনের সময় দিবে। এই সময়ের মধ্যে আপনি সেটি সমাধান করে মেইলের জবাবে আগের লিংকটি আবার দিয়ে বলবেন পুনরায় চেক করে দেখতে।

ওয়ার্ডপ্রেস টিম পুনরায় পরীক্ষা করে আপনার প্লাগইনটি এপ্রুভ করবে এবং আপনাকে একই এসভিএন লিংক দিবে। সেই লিংকটি হবে এরকম : http://plugins.svn.word press.org/Your_plugin_name

=> এখন আপনাকে সেই লিংকে প্রবেশ করতে হবে এবং আপনি সেখানে

  • assets/
  • branches/
  • tags/
  • trunk/

এই চারটি ফোল্ডার দেখতে পারবেন। তিনটিও থাকতে পারে।
এখন আপনাকে trunk ফোল্ডারে আপনার প্লাগইন এর ফাইলগুলো আপলোড করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো এটা কিভাবে করবেন। আপনি তো ওয়ার্ডপ্রেসের এফটিপি পাসওয়ার্ড জানেন না।

=> এজন্য আপনাকে tortoisesvn.net এই সাইট থেকে tortoisesvn সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে।

=> এরপর আপনি আপনার কম্পিউটারে যে ফোল্ডারে প্লাগইন এর ফাইলগুলো রেখেছেন সেটি তে প্রবেশ করুন এবং আপনার প্লাগইন ফোল্ডার টির উপর রাইট ক্লিক করে SVN Checkout সিলেক্ট করুন। এবং আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিন।

=> একটি নতুন উইন্ডো পাবেন সেখানে URL of your plugin repository এর খালি বক্সে আপনি মেইলে সে এসভিএন লিংক পেয়েছেন (উদাহরন: http://plugins.svn.word press.org/Your_plugin_name) সেটি Paste করুন। এবং “Ok” button চাপুন।

=> এবার আপনার কম্পিউটারে আপনার প্লাগইন ফোল্ডারের নামে আরএকটি নতুন ফোল্ডার তৈরি হবে এবং সেখানে

  • assets/
  • branches/
  • tags/
  • trunk/

এই ফোল্ডারগুলো দেখতে পাবেন।

=> এবার trunk/ ফোল্ডারে আপনার প্লাগইন এর ফাইলগুলো পেস্ট করুন এরং assets/ ফোল্ডারে ব্যানার দিতে চাইলে তা পেস্ট করুন।

=> plugin file গুলো trunk/ ফোল্ডারে copy করার পরফোল্ডার টির উপর রাইট ক্লিক করে SVN commit সিলেক্ট করুন।

=> এখন আপনার কম্পিউটারের ফাইলগুলো remote wordpress.org repository তে জমা হলো।

=> সত্যি জমা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য http://svn.wp- plugins.org//trunk (লিংকটি আপনার প্লাগইন নামে পরিবর্তনযোগ্য) লিংকে গিয়ে দেখে নিন।

=> এভাবে assets ফোল্ডারে ব্যনার যুক্ত করুন। ব্যনার নাম অবশ্যই banner-772×250 দিতে হবে এবং পিএনজি ফরমেটে রাখতে হবে সেইসাথে সাইজ 772×250 পিক্সেল দিতে হবে।

=> সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার প্লাগইনটি ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরীতে যুক্ত হবে।

মূল লেখা: Md Nurullah Hussain Member of আর আর ফাউন্ডেশন (অফিসিয়াল গ্রুপ)

Facebook Comments

S.k.joy

খুব সাধারণ একজন। বসবাস গ্রামে। জন্ম, বেড়ে উঠা এখানেই। অসম্ভব ভালবাসা এই গ্রামীন জীবন, প্রকৃতি আর পরিবেশের প্রতি। কাজ পড়াশোনার ক্ষেত্রে বার বার সুযোগ এলেও শহরবাসী হয়ে উঠতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। শহরের অতি আধুনিকতা, কংক্রিটে মোড়া সুউচ্চ অট্টেলিকায় বন্দি জীবন আমায় কখনও আর্কষিত করতে পারিনি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেঠো পথে বেরিয়ে পড়ি সকালটাকে উপভোগ করতে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ গুলোতে জেগে উঠা পাখিগুলো আমায় স্বাগত জানায়। বুক ভরে নিশ্বাস নিই। শিশিরে ভেজা ঘাস গুলো প্রতি মুহুর্তে সকালের কোমলতাকে জানান দেয়। সূর্যের রোদ সবার আগে গায়ে মেখে ফিরে আসি। দাদু-ঠাম্মা, ছোট ছোট ভাই বোন সবাইকে পরিবার। এইতো জীবন। খুশিতে ভরা জীবন। দূরে গিয়ে সবার থেকে আলাদা হয়ে নিজের মত থাকার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাইনা আমি।